দেশ 

Pilot Sania Mirza: উত্তরপ্রদেশের সানিয়া প্রথম মুসলিম মহিলা যুদ্ধ বিমান চালক হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন, কেমন করে অসম্ভবকে সম্ভব করলেন ? কে তাঁর প্রেরণা ? জানতে হলে ক্লিক করুন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বুলবুল চৌধুরি : উত্তরপ্রদেশের দেহাত কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত যশোভার নামের একটি ছোট্ট গ্রামের বাসিন্দা সানিয়া। নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়ে । বাবা শাহিদ আলি টিভি মেকানিকের কাজ করেন । রাতারাতি সমগ্র ভারতে সেলিব্রেটি হয়ে উঠেছেন সানিয়া  মির্জা । স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর এই মুসলিম মেয়েটি ভারতের প্রথম মুসলিম মহিলা যুদ্ধবিমান চালক হতে চলেছেন। তাঁর নাম সানিয়া মির্জা। সানিয়া ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন ।

সানিয়া ন্যাশনাল ডিফেন্স আকাদেমি(এনডিএ)-র পরীক্ষায় সামগ্রিক ভাবে ১৪৯তম স্থান পেয়েছেন।এনডিএ-র চলতি বছরের পরীক্ষায় পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে মোট ৪০০টি আসন ছিল। যেখানে মহিলাদের জন্য ১৯টি আসন ছিল এবং ফাইটার পাইলটদের জন্য ছিল মাত্র দু’টি আসন। সানিয়া নিজের যোগ্যতায় এর একটিতে জায়গা করে নিয়েছেন। এই সাফল্যে খুশি তাঁর বাবা-মা এবং স্কুলের দিদিমণিরাও। স্থানীয় পণ্ডিত চিন্তামণি দুবে ইন্টার কলেজ থেকে তিনি মাধ্যমিক পাশ করেন।এর পর উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি মির্জাপুর শহরের গুরু নানক গার্লস ইন্টার কলেজে ভর্তি হন বলে হিন্দি দৈনিক ‘অমর উজালা’র একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় জেলার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন সানিয়া।চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সানিয়া এনডিএ পরীক্ষায় বসেছিলেন এবং ১৪৯তম র‌্যাঙ্ক করেন।

Advertisement

এক সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘মহিলা যুদ্ধবিমান চালকদের জন্য মাত্র দু’টি আসন সংরক্ষিত ছিল। প্রথম বারের চেষ্টায় আমি আসন দখল করতে ব্যর্থ হই। তবে, দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় আমি সেই যোগ্যতা অর্জন করেছি।’’সানিয়া আরও যোগ করেন, ‘‘ইংরাজিতে ভাল কথা বললেই যে যোগ্য প্রার্থী হিসাবে বেশি কদর পাওয়া যায়, এই ধারণা ভ্রান্ত।’’

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী ২৭ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের পুণে জেলার এনডিএ আকাদেমিতে যোগ দেবেন সানিয়া। এ প্রসঙ্গে সানিয়া বলেন, ‘‘ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট অবনী চতুর্বেদী আমাকে খুব অনুপ্রাণিত করেছেন এবং তাঁকে দেখে আমি এনডিএতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আশা করি আমি এক দিন তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে পারব।’’দুই সঙ্গী মোহনা সিংহ এবং ভাবনা কান্থের পাশাপাশি অবনী চতুর্বেদীকে ভারতের প্রথম মহিলা যুদ্ধবিমান চালক হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে।

মেয়ের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত সানিয়ার মা তবস্‌সুম মির্জা বলেন, ‘‘মেয়ে আমাদের এবং পুরো গ্রামের গর্ব। সে প্রথম মুসলিম মহিলা ফাইটার পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছে। ও গ্রামের প্রতিটি মেয়েকে তাদের স্বপ্নপূরণ করতে অনুপ্রাণিত করেছে।’’

সানিয়ার সাফল্যে এই দেশের সংখ্যালঘু এবং দলিত সমাজ যে উজ্জীবিত তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই । মুসলিম মেয়েরা যে শুধু বোরখার আড়ালেই থাকেন এই ধারণাকে ভ্রান্ত করে দিলেন সানিয়া মির্জা। তাঁর এই সাফল্যে সমগ্র দেশ গর্বিত । শুধু মুসলিমরা নয়, দেশের সমগ্র নারী জাতির সম্মান ও মর্যাদাকে অনেক অনেক গুণ বৃদ্ধি করলেন সানিয়া মির্জা । হায়দ্রাবাদের এক মুসলিম কন্যার দৌলতে সমগ্র বিশ্বজুড়ে দেশের মান-সম্মান আলোকিত হয়েছে , উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের এক তরুণী সমগ্র দেশের নারী সমাজে বিপ্লব তৈরি করে দিয়েছেন যা এক কথায় ইতিহাস ।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ